উইটনেস নামে একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘ক্যামেরা এভরিহোয়ার স্টেট বা দেশের সর্বত্র ক্যামেরা’ শিরোনামে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে জানানো হয়, কোনো ভিডিও শেয়ারিং সাইট কিংবা হার্ডওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য মুখমন্ডল ঝাপসা করার সুবিধা বা পরিচয় সুরক্ষার কোনো সুবিধা প্রদান করছে না। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই দ্রুত গতিতে ইউটিউব অফিসিয়াল ব্লগের মাধ্যমে মুখমন্ডল ঝাপসা করার টুল আনার ঘোষণা দেয়।
সমাজের গুপ্ত নানা অন্যায়, অনিয়ম, অপকর্মের মতো চলমান ঘটনাবলী বিশ্ব সম্মুখে তুলে ধরতে ভিডিও শেয়ারিং সাইটগুলো আজ শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল সাইট ফেসবুক টুইটারের চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। এ মাধ্যমটি অধিক ব্যবহারের রেকর্ডই তাই প্রমাণ করে।
কিন্তু অপব্যবহারের দিক দিয়েও অন্য যেকোনো সময়ের থেকে সর্বাধিক ব্যবহার হচ্ছে সাইটগুলো। তাই শিশু থেকে শুরু করে রাজনীতির সর্বাঙ্গণে সহসাই পীড়াদায়ক আক্রমণ এমনকি যৌন হয়রানীমূলক ভিডিও ফুটেজ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন। এ ধরনের একটি কল্যাণকর ব্যবস্থা নেওয়ায় ইউটিউব ব্যবহারকারীরা চাইলেই আপলোড ভিডিওতে যে কারো পরিচয় পুরোপুরি গোপন রাখতে পারবেন।
নতুন এ ফেস ব্লুরিং ফিচারের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে বলা হয়, ইফেক্টটি ব্যবহারের শুরুতে ইউটিউব আ্যকাউন্টের ভিডিও ম্যানেজার সেকশনে যেতে হবে। এরপর এডিট বাটনে ক্লিক করে ফুটেজ নির্বাচন করে দিতে হবে। লোড হওয়া ভিডিও পেজের ওপরে দিকে ইনহ্যান্সমেন্ট ট্যাব থেকে এডিশানাল ফিচার বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সবশেষ ধাপে ‘ব্লুয়ার অল ফেস’ অপশন নির্বাচন করে অ্যাপ্লাইয়ে ক্লিক করতে হবে। কাজটি একবার সম্পন্ন হলে ব্যবহারকারী মূল ভিডিওটি মুছে ফেলে নতুন করে ভিডিও সংরক্ষন করতে পারবেন। এরই মধ্যে ব্যবহারকারীদের ইফেক্টটি ব্যবহার করে ভিডিও প্রকাশের আগে সর্তকতা অবলম্বনের পরামর্শও দিয়েছে ইউটিউব।